Ration Scam: দুর্নীতি যেন ভায়রা ভাই। যেখানে তাকাবেন ভেজাল খাবার, লোক ঠকানোর দামাল ব্যবসা, না খেটে বেশি রোজগারের আকাঙ্খা, সবই ওই মোটা টাকা কমানোর তাগিদে। নিষ্ঠুর হয়ে উঠতে সমাজ। শিক্ষা দুর্নীতির বাজারে এখন আরও একবার মাথাচাড়া দিয়ে উঠে বসল রেশন দুর্নীতি। সে দুর্নীতি করছেন রেশন ডিলাররা। প্রভাবিত হচ্ছেন সাধারণ গ্রাহক। কোপ পড়ছে মধ্যবিত্তের পকেটে। এমন সময় কড়া ব্যবস্থা নিল কর্তৃপক্ষ। দুর্নীতি কমাতে শো-কজ করা হল রেশন ডিলারদের।
রেশন সরবরাহে দুর্নীতির প্রকোপ | Ration Scam
রেশন ডিলারদের বিরুদ্ধে অনিয়মের অভিযোগ নতুন নয়। রেশনে কারচুপি ঠেকাতে আগেই একাধিক ব্যবস্থা করেছে খাদ্য দফতর। অনেকেই সে ব্যবস্থা কানে নেননি। বলা হয়েছে ই-পজ মেশিন বসিয়ে খাদ্য সরবরাহ করতে হবে গ্রাহকদের। শোনেনি ডিলাররা সে কথা। তাই এখন অনিয়ম রুখতে আরও তৎপর হয়েছে দফতর। এইতো কিছুদিন আগেই অনিয়মের অভিযোগে চারজন ময়দাকল মালিককে সাসপেন্ড করেছিল খাদ্য বিভাগ। সাসপেন্ড করা হয়েছে দু’জন রেশন ডিস্ট্রিবিউটারকে। আর এবার সেই একই তালিকায় জুড়ল আরও ১২০ জনের নাম। ডাহা অনিয়মের অভিযোগে এই শতাধিক রেশন ডিলারকে শোকজ করল খাদ্য বিভাগ।
আরও পড়ুন: Rupashree Prakalpa 2024 : বিয়ের জন্য ২৫,০০০ টাকা দেবে পশ্চিমবঙ্গ সরকার, দেখে নিন আবেদন পদ্ধতি
জানা গিয়েছে, দক্ষিণ ২৪ পরগনার জেলায় এই রেশন দুর্নীতির প্রকোপ পড়েছে। দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলা খাদ্য বিভাগ সূত্রে জানা গিয়েছে, রেশন সামগ্রী মাপার ওজন মেশিনের সঙ্গে ই-পস যন্ত্র যুক্ত না করেই খাদ্য সামগ্রী দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে ডিলারদের বিরুদ্ধে। কিন্তু খাদ্য দফতর তো আগেই কারচুপি ঠেকাতে ই-পস যন্ত্র যুক্ত করার নিয়ম বাধ্যতামূলক করেছে। কিন্তু তা কেন শোনা হল না।
ইতিমধ্যেই সবটা জানতে পেরে বিভিন্ন রেশন দোকানে হানা দেন খাদ্য বিভাগের আধিকারিকরা। চোখের সামনে হতে দেখেন অনিয়ম। ব্যাস, আর যায় কোথায়? এমন অন্যায়ের কারণ জানতে চেয়ে জারি করে দেওয়া হয় কারণ দর্শানোর নোটিশ। কিন্তু, ডিলাররা জবাব তো মানানসই ছিল না। একেবারেই সন্তুষ্ট হতে পারেনি খাদ্য বিভাগ। এখন শোকজ করা হয়েছে। এই সপ্তাহ থেকে শুনানি হবে। কোনও অনিয়ম করা হয়েছে এমন প্রমাণ মিললে রেশন ডিলারদের কাজ নিয়ে টানাটানি হতে পারে লাইসেন্স বাতিল পর্যন্ত করা হতে পারে।
ই-পজ যন্ত্রের কাজ কী? | Work of E-Pos Machine
একজন ডিলার সঠিক পরিমাণে চাল, ডাল ইত্যাদি সামগ্রী দিচ্ছেন কিনা, তা দেখতে পারে এই যন্ত্র। ডিলার আবার কত টাকা নিচ্ছেন কিনা, তা সবই মেশিন দেখায়। এবার এই যন্ত্র ব্যবহার না করার ফলে সঠিক পরিমাণে চাল, ডাল দিচ্ছেন কিনা তা সহজে বোঝা যায় না। কারচুপি করা সহজ হয়। আর একাধিক মানুষের অধিকারকে ভঙ্গ করে এমনটা করা তো যায় না!